ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শ্রমজীবী মানুষের সুরক্ষা ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চিতের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
শ্রমজীবী মানুষের সুরক্ষা ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চিতের দাবি আলোচনা সভা।

ঢাকা: সব খাতের শ্রমিকদের জন্য আইন প্রণয়ন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা এবং শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক সুরক্ষা ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার দাবি করেছে বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বাংলাদেশ।

শনিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ৭৫তম বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘একাধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শ্রমিক ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অব্যাহত: শোষণমুক্ত, সামাজিক ন্যায়বিচার সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়’ শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি করা হয়।

জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শ্রমিক নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বাংলাদেশ কমিটির সমন্বয়ক ও জাতিয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ প্রমুখ।

সভায় নেতারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় শ্রমিক শ্রেণী যে নিপীড়নের শিকার তা আরও তীব্র রুপ লাভ করেছে করোনা মহামারিতে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে ভয়াবহভাবে, শ্রমজীবীদের অর্থনৈতিক দুর্দশা বেড়েছে বহুগুন। কিন্তু পুজিবাদী শোষণের ফলে কর্পোরেট পুঁজির মুনাফাও বেড়েছে বিপুলভাবে। ফলে বিশ্বব্যাপী করোনা বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বাস্তবতা প্রমাণ করেছে একমাত্র শ্রেণী সচেতন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনই শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির পথ।

শ্রমিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশেও করোনার অজুহাতে মালিকরা রাষ্ট্রের কাছে যত সুবিধা নিয়েছে তার কোনো সুফল শ্রমিকদের কাছে পৌঁছায়নি। বরং মালিকরা এই করোনাকালে প্রণোদনা নিয়েও শ্রমিক ছাঁটাই, সময়মত মজুরি পরিশোধ না করা, মজুরি কম দেওয়াসহ নানাভাবে শ্রমিকদেরকে বঞ্চিত করেছে।

আলোচনা সভা থেকে নেতাদের আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পাটকলসমূহ চালু, প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা, দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকদের পুনর্বাসন, পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সব খাতের শ্রমিকদের জন্য আইন প্রণয়ন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, সব শ্রমজীবী মানুষের তালিকা তৈরি করে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ আন্তর্জাতিক ঘোষিত নীতি ও আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রমিকের অধিকার রক্ষা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চিতের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।