ঢাকা: ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন কে পাবেন তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই আসনের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে আলোচনা হয়, ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থীতা নিয়ে যে সংঘর্ষ হয়েছে সে ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দায়িত্ব পেয়ে তিনি শনিবার কাজ শুরু করেছেন। তার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে সময় ক্ষেপনের সুযোগ নেই। আগামী ১৩ অক্টোবর ওই আসনের মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হবে।
বৈঠক সুত্র জানায়, শনিবারের বৈঠকে ঢাকা-১৮ ছাড়াও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ধর্ষণ ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রচারিত নাটক নিয়েও। শিগগিরই এসব বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। তবে তার আগে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
শনিবারের এই ভারচ্যুয়াল বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা যোগ দেন। বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি।
জানতে চাইলে, শায়রুল কবির খান বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, মিডিয়ায় বলার মতো কিছু জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময় ০০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এমএইচ/এসআইএস