ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে কেটে নিয়ে ক্ষমতায় এসে তারা দেশকে এক ধরনের মৃত্যুকূপে পরিণত করেছে।
রোববার (০৪ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য বলেন।
মান্না বলেন, সরকার প্রচণ্ড ভীত হয়ে পড়েছে। তারা মনে করছে মূল বিরোধী দল যেহেতু মাঠে নাই, সেহেতু অন্য কোনো শক্তিকে মাঠে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার কাউকেই কথা বলতে দিতে চায় না। যে কথা তাদের আতে লাগে সেই কথা তারা বন্ধ করে দিতে চায়।
তিনি বলেন, সত্য কথা যদি বলি এবং বলতে পারি তাহলে কোনো অপশক্তি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। সরকারের এমন কোনো সেক্টর নাই যেখানে দুর্নীতি-লুটপাট নাই। সরকারের এই লুটপাট ও ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সাহস করে কথা বলতে হবে।
দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার এবং সরকারি দলের নেতাকর্মী, ক্যাডারদের জন্য আজ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, মা-বোনদের সম্ভ্রমের নিরাপত্তা নেই। দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ এমনকি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার জীবনও আজ নিরাপদ নয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় বসে তারা রাজনীতিবিদ, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের টুঁটি চেপে ধরেছে। ছাত্রদের ওপর পুলিশ এবং দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিপীড়ন চালাচ্ছে। তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেট পড়ে হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। দেশে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করতে তারা বাধা দিচ্ছে, সেখানে হামলা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার। উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সাকিব আলী, ডা. জাহেদ উর রহমান, সাকিব আনোয়ার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব রাজ্জাক সজীবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এমএইচ/টিএ