ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার ধর্ষণ প্রতিরোধে ব্যর্থ: আসম রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২০
সরকার ধর্ষণ প্রতিরোধে ব্যর্থ: আসম রব আ স ম রব

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব বলেছেন, সরকার ধর্ষণ প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ধর্ষণের ভয়াবহতা কার্যকরভাবে মোকাবিলায় গ্রামেগঞ্জে পাড়া মহল্লায় ছাত্র, জনতা, সংবাদকর্মী, নারী, মানবাধিকারকর্মী, সংস্কৃতসেবী, শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণ ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ‘ধর্ষণ হত্যা প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তুলতে হবে।

সরকারকে দ্রুত ‘ধর্ষণ হত্যা প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সরকার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে দাবি করে আসম রব বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার কুফল জাতি প্রত্যক্ষ করছে। জনগণের সম্মতিবিহীন দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্র যে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে উপনীত হয় তার প্রমাণ বাংলাদেশ। দুর্নীতি ও ধর্ষণে জড়িতরা সবাই সরকারি প্রশ্রয়ে ক্ষমতাধর। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ক্ষমতাধরদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। আইন বদল করলেও লাভ হবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সারাদেশে দুর্বৃত্ত শ্রেণি জন্ম লাভ করেছে। এই দুর্বৃত্ত শ্রেণিকে প্রতিরোধ করার নৈতিক ক্ষমতা সরকারের নেই। সব অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণের এই প্রতিরোধ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। জনগণের এই প্রতিরোধ আন্দোলনকে জনবিস্ফোরণে রূপান্তর করতে হবে।

সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।

সভায় ১০ দফা ও ১৪ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন সংগঠন গড়ে তোলার প্রশ্নে কতিপয় প্রস্তাবনা উত্থাপন করে দলের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণবিস্ফোরণ ও গণ-অভ্যুত্থানের জন্য জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ জন্য সংগঠনকে দ্রুত শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগণের মধ্যে বিস্তার ঘটাতে হবে।

সভায় আন্দোলন সংগঠন প্রশ্নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. জবিউল হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, আমিন উদ্দিন বিএসসি, লোকমান হাকিম, সৈয়দা ফাতেমা হেনা, আমির উদ্দিন মাস্টার, মতিউর রহমান মতি, অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, সেলিম জামান চৌধুরী, এসএম রানা চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফারাহ খান, আজম খান, মীর জিল্লুর রহমান, ফারজানা দিবা, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।