ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমান-সালামের বিবৃতি, প্রচারণায় হামলার অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
আমান-সালামের বিবৃতি, প্রচারণায় হামলার অভিযোগ

ঢাকা: ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমান উল্লাহ আমান ও সমন্বয়ক আব্দুস সালাম।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপি এ দুই নেতা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সকাল ১০টায় রাজধানীর উত্তরখান থানার মাজার রোড চৌরাস্তায় ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগের কর্মসূচি ছিল।



গণসংযোগের ব্যাপারে আগে থেকেই পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছিল এবং অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মসূচি শুরুর আগেই সেখানে উপস্থিত বিএনপি প্রার্থীর নেতাকর্মীদের ওপর লাঠি-সোটা, রড ও হকিস্টিক নিয়ে হামলা করেন নৌকা মার্কার সমর্থক আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। উপস্থিত পুলিশ তাদের নিরস্ত্র না করে বরং সম্পূর্ণ নির্বিকার থাকে।

নেতারা আরও বলেন, তাদের এ হামলায় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, মাকসুদুল আলম, কামাল হোসেন, হারুনুর রশিদ, হোসেন আলী, ছাত্রদলের জুলহাস মৃধা, সিরাজুদ্দীন বাবু, মেহেদী হাসান বাবু, হাবিবুর রহমান আকাশ, তানভীর আহমদ, শামীম আকন্দ, প্রিন্স খন্দকার, মাসুদুর রহমান জীবন, মারজুক আলামিন, যুবদলের উত্তরখান থানার সভাপতি রুস্তম আলী ব্যাপারী, থানা যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন, যুবদল নেতা রতন মোল্লা, আমির হোসেন, আকরাম হোসেনসহ বেশ কয়েকজন।

তারা বলেন, দিনে দিনে সরকার দেশের মানুষের ভোটের অধিকারকে যে নির্বাসনে পাঠিয়েছে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন তার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। দিনে দিনে নির্বাচনের পরিবেশকে ক্রমেই দুর্বিসহ করে তোলা হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএনপি প্রার্থী যেখানেই গণসংযোগের কর্মসূচি দিচ্ছে-আওয়ামী লীগ সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে, হামলা করছে। সব হামলা, নির্যাতন ও রক্তচক্ষু সত্ত্বেও বিএনপি সমর্থকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি নেতারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি অবিলম্বে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয় এবং হামলা-নির্যাতন বন্ধ করে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত না করে, তাহলে ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন থেকেই ফ্যাসিবাদ পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।