ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জাতীয় সত্য উদঘাটন কমিশন’ গঠনের দাবি জাসদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
‘জাতীয় সত্য উদঘাটন কমিশন’ গঠনের দাবি জাসদের  ‘জাতীয় সত্য উদঘাটন কমিশন’ গঠনের দাবি জাসদের 

ঢাকা: ‘জাতীয় সত্য উদঘাটন কমিশন’ গঠনের দাবি করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাসদ সভাপতি এবং সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু এ দাবি করেন।

এর আগে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে কর্নেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাসদের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শহীদ কর্নেল তাহেরের অনুজ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু তার বক্তব্যে, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা, ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যা, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দমন, খালেদ মোশাররফ হত্যা, জিয়ার শাসনামলে কর্নেল তাহেরকে সাজানো মিথ্যা মামলায় বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা এবং সেনানিবাসগুলোতে শত শত অফিসার-সৈনিক হত্যার ঘটনার তদন্ত করে সত্য উদঘাটনে একটি ‘জাতীয় সত্য উদঘাটন কমিশন’ গঠন করার আহ্বান জানান।  

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা বা অফিসার হত্যা বা সৈনিক হত্যা বা বিপ্লব ও সংহতি দিবস নয়। দেরিতে হলেও ধামাচাপা দেওয়া সত্য আজ প্রকাশিত। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকে শুরু করে এখন সবাই খুবই সুস্পষ্টভাবে বলছেন কারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, কারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের নিরাপদে দেশত্যাগ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

জাসদ সভাপতি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের বিপ্লবী রাজনীতির ইতিহাসে একটি মাইলফলক। কিন্তু জিয়া ও তার সহযোগী পাকিস্তানপন্থী কর্মকর্তা এবং দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সেই মহান বিপ্লবী প্রচেষ্টাকে দমন করে দেশকে পাকিস্তানপন্থা ও চরম প্রতিক্রিয়াশীলতার দিকে ঠেলে দেয়। জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে শুরু করে। ৭ নভেম্বরের মহানায়ক কর্নেল তাহের আর বিশ্বাসঘাতক ও খলনায়ক জিয়াউর রহমান।

শিরীন আখতার বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ও শহীদ কর্নেল তাহেরের আত্মবলিদানের মহান ইতিহাস, দুর্নীতি ও বৈষম্যের অবসানে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের পথে অবিচল রয়েছে।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, যতই দিন যাচ্ছে শহীদ কর্নেল আবু তাহের একজন মহান বিপ্লবী হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। আজ বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-যুবকরা বিপ্লবী কর্নেল তাহেরকে বিপ্লবের প্রতীক হিসাবে গ্রহণ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
আরকেআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।