ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে: কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে: কাদের বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের

রাজশাহী: জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি উন্নয়নবিরোধী পক্ষ নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবতাবিরোধী অপশক্তি অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার নীল নকশা করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও কল্পকাহিনী ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারা শুরু করেছে। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র কোনদিন সফল হবে না। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের আগুন সন্ত্রাসের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। করোনা পরিস্থির কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকার নিজ বাসভবন থেকে রাজশাহীর বাগমারায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে যুক্ত হন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে তারা আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। আবার তারাই বলছে সরকারের এজেন্টরা নাকি বাসে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু দেশ ও রাষ্ট্র যখন সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে তখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠ থেকে সরকার কি কখনও এমন ঘটনা ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইবে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো বিএনপিরই পুরনো কৌশল। আপনারা জানেন একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ২০১৩ সালে তারা সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছে। সেই পুরনো কায়দায় তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি জনসম্পৃক্ত করে তুলতে না পারা এবং আন্দোলনের জন্য নতুন ইস্যু সৃষ্টির ব্যর্থতায় সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে দলটি। জ্বালাও-পোড়াও বিএনপিরই স্ট্র্যাটেজি।

কিন্তু ওই সময় তারা জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছিল, জনপ্রতিরোধের কাছে তারা পরাজিত হয়েছিল। এই কারণে জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে আজকে তারা আবারও দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। তবে আমারা বলতে চাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সকল রাজনৈতিক দলেরই রয়েছে। কিন্তু কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি বিনষ্ট করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপিকে এর সমুচিত জবাব দেবে। কোনো অপশক্তিকে কোনোভাবেই জনজীবন ও জনগণের সম্পদের ক্ষতি করতে দেওয়া হবে না, যোগ করেন তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি দেশের উন্নয়নে সরকারের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। উন্নয়নবিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেশ। এছাড়া করোনাকালে সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীসহ সামর্থ্যবানদের প্রতি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু, রাজশাহী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।