ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। গত ১৩ অক্টোবর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়।
প্রথমে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসা শেষে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দু দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ২১ নভেম্বর তার হার্টে রিং পরানোর মাধ্যমে সফলভাবে এনজিওপ্লাস্টি করানো হয়।
হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে ২৪ নভেম্বর বাসায় ফেরেন এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপির এ নেতা।
রুহুল কবির রিজভীর চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়ায় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে ল্যাবএইড হাসপাতালের যেসব চিকিৎসক তার চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের পর রুহুল কবির রিজভীর অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে, বলা যায় মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন রিজভীর শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর তার হার্ট অ্যাটাকের পর ল্যাব এইড হাসাপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়। এরপর তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়। ১১ নভেম্বর বিএসএমএমইউতে তার হার্টের এমপিআই (মাইকর্ডিয়াল পারফিউশন ইমেজিং) টেস্ট করা হয়। এমপিআই পরীক্ষায় কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। তাই গত ২১ নভেম্বর আবারও তার এনজিওগ্রাম করে হার্টে সমস্যা ধরা পড়ায় ল্যাবএইডের অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে তার হার্টে রিং পরানো হয়।
রুহুল কবির রিজভীর একান্ত সহকারী আরিফুল রহমান তুষার জানান, স্যার বর্তমান বাসায় আছেন। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শে তার আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি