ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: দলমতের সীমা অতিক্রম করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও কমিউনিস্ট নেতা হায়দার আনোয়ার খান জুনো ছিলেন একজন দৃষ্টান্ত।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণসভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন। শোকসভার শুরুতে হায়দার আনোয়ার খান জুনোর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে স্মরণ কমিটির সমন্বয়ক আমিরুন নুজহাত মনিষা বলেন, জুনো আমার নিজের ভাইয়ের মতোই ছিল। ঘটনাক্রমে ঢাকা শহরে আমরা একই স্কুলে, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কিন্তু আত্মীয়তার কারণটা সামাজিক বা বিদ্যায়তনিক ছিল না, ছিল মতাদর্শিক। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ ও আন্দোলনের ব্যাপারে অনমনীয় এবং দলমতের সীমা অতিক্রম করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে জুনো ছিলেন দৃষ্টান্ত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,
আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা মুক্তিযুদ্ধকে এককেন্দ্রিক ঘটনার পরিধি করেছি। যদি বিকেন্দ্রিকরণ হয়, এক জায়গায় হলেও জুনোর ইতিহাস স্থান পাবে। যেটা আমাদের তরুণদের প্রণোদিত করবে দেশ গঠনে। জনগণের মুক্তির আন্দোলনে। এসব নিশ্চিত করা হলেই জুনোর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
স্মরণসভায় গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জুনোর মেয়ে অনন্যা লাবণী পুতুল, গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, বাসদ নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এসকেবি/এএ