ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি-----রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক এপোলো) করোনাক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রহী রেখে গেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব।
১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে তিনি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সাধারণ নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও তার দল বিএনপি আওয়ামী লীগের কাছে হেরে ক্ষমতায় হারায়। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন, তারপরে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি তার আসন হারান। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর জেলার বাঙালি জমিদার পরিবারে ১৯৪০ সালের ২৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। কামাল ইউসুফের বাবা ছিলেন জমিদার চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিভাশ। তার বাবা ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া) ব্রিটিশ শাসনামলে একজন বিশিষ্ট মুসলিম লীগ নেতা ছিলেন। তার চাচা চৌধুরী আবদুল্লাহ জহিরউদ্দীন (লাল মিয়া) রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সরকারে মন্ত্রিসভায় ছিলেন এবং অন্য চাচা এনায়েত হোসেন চৌধুরী পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
কামাল ইউসুফের চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। বৃহস্পতিবার ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বিএনপির মনোনয়নে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বর্তমানে কামাল ইবনে ইউসুফের মরদেহ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এ- ব্লক এর ২ নম্বর সড়কের ১৬৭ নম্বর বাড়িতে রয়েছে। জানাজা ও দাফন এর বিষয়ে পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস