ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘কয়েকজন ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে ইসলাম লিজ দেইনি’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
‘কয়েকজন ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে ইসলাম লিজ দেইনি’  ছবি: শাকিল

ঢাকা: ভাস্কর্য ইস্যুতে বিরোধিতাকারীদের ধর্মব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা কয়েকজন ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে ইসলাম ধর্মকে লিজ দেইনি।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এই ভূখণ্ডে শত শত বছর ধরে ভাস্কর্য রয়েছে। বলা যায় সেই মুঘল আমল থেকে। স্বাধীনতার পরে বহু রাজনৈতিক নেতার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা হচ্ছে? আমরা কয়েকজন ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে ইসলাম ধর্মকে লিজ দেইনি।

‘সৌদি আরবে ভাস্কর্য জাদুঘর রয়েছে। সে দেশের সড়কে সড়কে অনেক ভাস্কর্য। সেই দেশের মক্কা-মদিনার গ্রান্ড মুফতিরা কখনো ভাস্কর্য নিয়ে কিছু বলেননি। আমাদের দেশের কয়েকজন কি গ্রান্ড মুফতিদের চেয়েও বেশি বোঝেন। আসলে তারা ধর্ম ব্যবসায়ী। ’

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। শাপলা চত্বরে মাদরাসা ছাত্রদের এনে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, বায়তুল মোকাররমে কোরআন শরিফে আগুন দেওয়া হয়েছে। যাদের নেতৃত্বে মাদরাসা ছাত্রদের এনে এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। তারাই এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

‘দেশটি হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার। এখানে ধর্মীয় বিষবাস্প ছড়ানো সম্পূর্ণ সংবিধানের লঙ্ঘন। এদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। আমি সবাইকে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর অনুরোধ করছি। ’

শত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করা হয়েছে। দেশীয় কিছু সংগঠন সে সময় যেভাবে লাফালাফি করেছে, তারা এখন কোথায়? তারা এখন চুপসে গেছেন কেন? যারা কিছু হলেই লাফ দেয়, সংবাদ সম্মেলন করে রিপোর্ট প্রকাশ করেন। সেই সিপিডি-টিআইবি এখন কোথায়? তারা কি পদ্মাসেতু হওয়ায় খুশি হননি? আসলে তারা দেশের ভালো চায় না। তারা সবসময় আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের দেশের দোসর হয়ে কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।