ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশে আল-কায়েদার (মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী) উপস্থিতি প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই।

যেকোনো দেশে সন্ত্রাসবাদ দমন আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব এবং লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, তাদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অজ্ঞতাপ্রসূত যখন এ বক্তব্য রাখেন সেটি খুবই দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আজকের বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, পার্লামেন্ট হামলা চালিয়ে সেখানে কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আমাদের দেশে কিংবা ভারতে বা আশেপাশে কোনো দেশে এভাবে পার্লামেন্টে যখন অধিবেশন চলছে তখন কি হামলা হয়েছে? হয়নি। এ আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে যেদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যখন শপথ গ্রহণ করবেন, এফবিআই তথ্য দিয়েছেন সেদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সারাদেশব্যাপী সর্হিংসতা ছড়াতে পারে, বিক্ষোভ হতে পারে।  

তাহলে কী মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো-এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কিংবা ভারতে সংসদে অধিবেশন চলাকালে উত্তেজিত জনতা কী ইতিহাসে কখনও এভাবে হামলা চালিয়েছে, যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। সেই বিবেচনায় তো আমাদের সংসদে এ ধরনের কোনো হামলা হয়নি। এ বিবেচনা থেকে যে উপসংহার আসে সেটি কি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন তাদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস এবং বর্ণবাদ এ দু'টি বিষয়ে আরেও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

আব্দুল মির্জা কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে নিয়ে তো সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। শেষপর্যন্ত দেখা গেছে আব্দুল কাদের মির্জা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তার দুইজন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এবং জামায়াতের প্রার্থীর সম্মিলিত ভোটের চাইতেও তিনি তিনগুণ বেশি ভোট পেয়েছেন। এজন্য আব্দুল কাদের মির্জা অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা কাদের যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন নির্বাচনের আগে, আমাদের দলের অনেকেই অতীতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। স্থানীয় সংগঠন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তিনি তুলেছেন, সে অধিকার সবারই আছে। তিনি সেই অধিকার বলেই প্রশ্নগুলো তুলেছেন। এগুলো অবশ্যই দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে, এর সত্যতা কতটুকু।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নৌকার প্রার্থী এজেন্ট দিতে পারেননি, সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আপনারা কি মনে করছেন আপনাদের প্রার্থীতা শতভাগ সঠিক ছিলো, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হবিগঞ্জের মাধবপুর নিয়ে আমার তেমন ধারণা নেই, খবর নিয়ে বলতে হবে। সেখানে নিশ্চয়ই অন্য প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা কাজ করেছেন, কেন করেছেন সেটি নিশ্চয়ই অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।