ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবাস্তব’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
‘খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবাস্তব’

ঢাকা: দেশের বর্তমান করোনা দুর্যোগ ও লকডাউনের ফলে খেটে খাওয়া মানুষ সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবাস্তব চিন্তার ফসল ছাড়া অন্য কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।


 
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা এ মন্তব্য করেন।  

তারা বলেন, করোনার মতো মহামারির থাবা থেকে আমরা কিভাবে মুক্তি পাবো, সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে আমাদের আর্থিক সামর্থ্যকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা উচিত। আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমনির্ভর, কৃষি-গার্মেন্টস ও প্রবাসীর অর্জননির্ভর। সাম্প্রতিকালে কৃষি থেকে খাদ্য নিরাপত্তা মোটামুটি নিশ্চিত থাকলেও দেশের অর্থনীতির নিয়ামক গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসীর আয় করোনার প্রাদুর্ভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের অভ্যন্তরে শ্রমজীবী, প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক/কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়েছে।

নেতারা বলেন, লকডাউন কঠোর করতে হলে সংকটে থাকা সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে হবে। ঘরে রাখা সম্ভব তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে। সরকার ঘোষিত আড়াই হাজার টাকা করে মাসিক প্রণোদনা দিলে এক মাসে ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার বিষয়। যদি লকডাউন দীর্ঘ মেয়াদে করতে হয় তবে কী দেশ সে ভার বহন করতে সক্ষম হবে?

তারা বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের গতানুগতিক কৌশলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো উচিত। লকডাউনের কার্যকারিতা যেহেতু আশানুরূপ পর্যায়ে নেই, তাই তা প্রত্যাহার করে মানুষের জীবনের গতিকে ফিরিয়ে আনা উচিত। গত বছরের লকডাউনে প্রান্তিক মানুষ দুর্দশায় পড়েছিলেন। দুর্দশা লাঘবে সরকারি প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি, রিলিফের চাল-ডাল প্রচলিত নিয়মে অনেকটাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের প্রান্তিক কর্মজীবীরা রোজগারের ব্যবস্থা হারিয়ে এবারও কষ্টে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।