ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জুতা পরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের বেদিতে মিলন-শাহীন চাকলাদার!

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
জুতা পরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের বেদিতে মিলন-শাহীন চাকলাদার!

যশোর: শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জুতা পরেই বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের বেদিতে উঠে পড়লেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। জুতা পরেই তারা জাতির জনককে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন।

 

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।  স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।  

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর শহরের গরীব শাহ মাজার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের বেদিতে জুতা পরে ওঠেন ওই দুই নেতা। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ইতিহাস লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আসাদুজ্জামান আসাদ নিজের ফেসবুকে ছবিটি আপলোড করে লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে জুতা পায়ে কারা!!’ তার পোস্টে মন্তব্য করে মো. শাহজালাল লিখেছেন, ‘যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। ’

অখিল আলী নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ওদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত!’ মো. মোজাম্মেল হক নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বড় নেতারা। তাছাড়া হাইব্রিড হলে যা হয়। ’ রফিকুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, ‘এই শ্রদ্ধা জানানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। ’ আশরাফ হায়দার নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বলার ভাষা নেই। আর কতো বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার নামে অশ্রদ্ধা করবে? এখনও সময় আছে অতি উৎসাহীদের পদ-পদবী থেকে বহিষ্কার করুন। ’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। তবুও বলি, আসলে বেদিতে ওঠার সময়ে আমি শাহীন চাকলাদারকে বলেছিলাম জুতা পায়ে বেদিতে ওঠা ঠিক হবে না। তখন তিনি বললেন, ‘আরে না, এটা তো শহীদ মিনারের বেদি না’। কী আর বলব, আসলেই ভুল হয়েছে!

তবে এ সব বিষয়ে জানতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের কমিটি করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্য এক ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচিত হন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এক পরিবেশবাদীকে ফাঁসাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোন করে কেশবপুর থানায় বোমা মারতে নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। ওসি ও শাহীন চাকলাদারের সেই অডিও ফোনালাপ ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
ইউজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।