ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে পদ হারালেন ছাত্রলীগ নেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে পদ হারালেন ছাত্রলীগ নেতা মেরাজ হোসেন মিঠু

যশোর: কুমিল্লার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় যশোরের ঝিকরগাছায় মেরাজ হোসেন মিঠু নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মিঠু উপজেলার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

 

রোববার (১৭ অক্টোবর) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

মেরাজ হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট দেন। এরপর পদ হারিয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাসে ক্ষমা চান তিনি। না বুঝে পোস্টটি দিয়েছিলেন দাবি করে মিঠু লিখেন- ‘এমন ভুল আর কখনও হবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা সবাই ভাই। ’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বাংলানিউজকে বলেন, মিঠু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেন। যা ছাত্রলীগের দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এ কারণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে তাকে আপাতত অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংগঠন। সেখানে সাম্প্রদায়িক ভাবধারার কারও অবস্থান নেই। এমন ভাবধারার নেতার ছাত্রলীগে থাকার সুযোগও নেই।

এদিকে, ৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে আনা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ঠ্র পুন:প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানকে নিয়ে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মানিক, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান রাজ, বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম এম টিপু সুলতানও দলীয় আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদে থেকে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় ফেজবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন এরা ছাত্রলীগের পদ পেল কী করে?

এ বিষয়ে জানতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ একটি প্রগতিশীল সংগঠন। এমন সংগঠনে থেকে কোনো ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বা সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধ। আবেগ দিয়ে তো সংগঠন করা যায় না। সারাদেশে যখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যখন ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করছেন, তখন যশোরে কয়েকটি ছাত্রলীগ নেতার এমন কর্মকাণ্ড আমাদের বিব্রত করেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হলে আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র জানতে হবে এবং মানতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
ইউজি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।