ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন আ.লীগ নেতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন আ.লীগ নেতা

রাজশাহী: দলের জন্য নিজের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোহনপুর উপজেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরঞ্জিত কুমার সরকার।  

রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তিনি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

আওয়ামী লীগের এই বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তাকে বাদ দিয়ে সাবেক বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই ওই ইউনিয়নে দেওয়া মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

সুরঞ্জিত কুমার সরকার গত নির্বাচনে রায়ঘাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি খলিলুর রহমান। নির্বাচনে খলিলুরই জেতেন। এবার খলিলুরের ছেলে বাবলু হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই।

সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত কুমার সরকার দলের জন্য তার ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতবারের নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। এই কারণে তিনি পরাজিত হন। এবারও নির্যাতিত নেতা হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। কিন্তু এরপরও স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন কৌশলে চেয়ারম্যান খলিলুরের ২৫ বছরের ছেলে বাবলু হোসেনকে মনোনয়ন এনে দিয়েছেন।

সুরঞ্জিত বলেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাকে এলাকার কেউ চেনে না। টাকা বা অন্য কোনোকিছুর বিনিময়ে কেন্দ্র থেকে তাকে কৌশলে মনোনয়ন এনে দেওয়া হয়েছে। তিনি দলীয় সভানেত্রীর কাছে এ ঘটনা তদন্তের দাবি জানান। বলেন, আপনারা মাঠজরিপ করুন, কার জনপ্রিয়তা বেশি। আমার জনপ্রিয়তা বেশি হলে যেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়।

সুরঞ্জিত সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে তিনি ২০০৫ সালে ২২ দিন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ১৪ দিন কারাভোগ করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর নাশকতার প্রতিরোধ করায় বিএনপি-জামায়াতের হামলার শিকার হন। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মনোনয়নের সুপারিশের তালিকায় তার নাম পাঁচ নম্বরে লেখা হয়। আর কোনো পদে না থাকা বাবলু হোসেনের নাম লেখা হয় তালিকার এক নম্বরে!

এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) মনোনয়নের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন সুরঞ্জিত কুমার সরকার। এছাড়া তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এসএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।