ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কী সিদ্ধান্ত আসতে পারে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিষয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
কী সিদ্ধান্ত আসতে পারে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিষয়ে

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অপরাধে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলার সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত আসতে পারে তা নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। তিনি যে, অপরাধ করেছেন তার জন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও মেয়র পদ চলে যেতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে দলের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তার এ বক্তব্যে নীতি-নির্ধারনী নেতারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেয়র পদও হারাতে পারেন।

আবার দলের কেউ কেউ মনে করছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী এক কেন্দ্রীয় নেতার ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন। সেদিক থেকে জাহাঙ্গীর এবারের জন্য ক্ষমা পেয়েও যেতে পারেন। তাছাড়া জাহাঙ্গীর ক্ষমা পাওয়ার জন্য কোনো কোনো নেতাকে ধরাধরির চেষ্টাও করছেন বলে জানা গেছে।

তবে, জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে সরাসরি কেউ কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না। আগামী ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।

তার এই বক্তব্য ভাইরাল হওয়া পর গাজীপুরের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে। এ ঘটনার পর গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

জাহাঙ্গীর আলম এই নোটিশ এর জবাব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রতিপক্ষ এই ভিডিও ছেড়েছে বলে তিনি জবাবে উল্লেখ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে, তার নোটিশের জবাব আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা সন্তোষজনক মনে করছেন না বলেও জানা গেছে।

বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তিনি যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য বলে দলের নীতি-নির্ধারকরা মনে করছেন। তাছাড়া এ ধরনের বক্তব্য সংবিধান লঙ্ঘন বলেও তারা মনে করেন। সে কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এবং সেটা হলে তিনি মেয়র পদও হারাতে পারেন।

গত ২৩ অক্টোবর ওবায়দুল কাদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় আদর্শ এবং শৃঙ্খলা বিরোধী বক্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরকে প্রদত্ত শোকজ নোটিশের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।