ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শালা-দুলাভাই বলায় আ.লীগের ২ চেয়ারম্যানের মারামারি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
শালা-দুলাভাই বলায় আ.লীগের ২ চেয়ারম্যানের মারামারি

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় নবনির্বাচিত দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যানের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এরা হলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার (৬০) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও দাসপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেন (৬২)। দুজনেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বাউফল উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের বারান্দায় ইউএনও প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষের সামনে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ইউএনও কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ইউএনওর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নূরুল হকের কক্ষে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় দাসপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ওই কক্ষের সামনে দিয়ে ইউএনওর কক্ষের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন জাহাঙ্গীর হোসেন শাহিন হাওলাদারকে সালাম দেন। শাহিন হাওলাদার তাকে (জাহাঙ্গীর) বলেন ও শালা যাও কই? উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন দুলাভাই সামনে যাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহিন কক্ষ থেকে বের হয়ে আমি তোর কেমন দুলাভাই বলে জাহাঙ্গীরকে চড়-থাপ্পর মারেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ইউএনও বের হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নেয়।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘আমি ইউএনও স্যারের কক্ষের পাশে একটি কক্ষে বসেছিলাম। ওই সময় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে তার এক কর্মীর সঙ্গে বলেন ওই দেহি শালায়। এরপর আমি এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। তখন কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির ঘটনা সত্য নয়।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি তাকে (শাহিন) উদ্দেশ্য করে কোনো কথা বলিনি। আমিও চেয়ারম্যান, তিনিও (শাহিন) চেয়ারম্যান। চোখে চোখ পড়ায় সালাম দেই। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি আমার ওপর হামলা চালান এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ইউএনও মহোদয় না থাকলে হয়তো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতো। সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে তিনি (শাহিন) কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন।  

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, জন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ শিখবে। সেখানে দুই চেয়ারম্যানের এরকম আচরণ খুবই দুঃখজনক। প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। চিৎকার শুনে কক্ষ থেকে বের হয়ে দুই চেয়ারম্যানকে দুদিকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।