ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তীকালে নব-নির্বাচিত মেম্বারের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীর সংঘর্ষের ঘটনায় ১২৮ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভাঙ্গা থানায় দুই দলের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- ইউনুচ আলী ও সাহেব মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটে। একপক্ষের দলনেতা নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর বাবর আলী পক্ষের মহর আলী শেখ ৪৮ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দুই বাদী আপন মামা-ভাগ্নে। তৃতীয় মামলাটি করেন পলি আক্তার। তিনি তৃতীয় পক্ষ দাবি করে ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। পলি কোনো পক্ষের নয় বলে পুলিশ জানান। এরা সবাই একই গ্রামের।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, সহিংস ঘটনায় মুনসুরাবাদ গ্রামে তিনটি মামলা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত রয়েছে। গ্রেফতার ইউনুচ ও সাহেবকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের সমর্থন দেওয়া না দেওয়া নিয়ে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের বিজয়ী আলমগীর মেম্বার ও পরাজিত প্রার্থী বাবর আলী মাতুব্বরের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে গত ১৩ ডিসেম্বর সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ২৫ জন সমর্থক আহত হন। সে ঘটনার জের ধরে তার দু’দিন পর ১৫ ডিসেম্বর বাবর আলী দলের দুলাল শিকাদার নামে এক বৃদ্ধা নিহত হন। তাদের দাবি, কিল-ঘুষিতে মারা গেছেন ওই বৃদ্ধ। আর অপরপক্ষের দাবি, স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে পুলিশ জানায়, নিহত বৃদ্ধের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
এসআরএস