হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ১০ জনকে আটকের বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটকরা হলেন-হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চরগাঁও মোল্লাবাড়ির মো. আমিনের ছেলে মিজান উদ্দিন (২২), ছোটবহুলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (২৩), পূর্ব বহুলা গ্রামের মৃত তাজ মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমেদ (২২), রিচি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রউফ রুবেল (২৪), চুনারুঘাট উপজেলার আমকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সাইফুর রহমান সুজন (২৪), একই উপজেলার জারুলিয়া গ্রামের হাজী কাছম আলী মীরের ছেলে মীর শওকত আলী সেলিম (৪০), লাখাই উপজেলার কাটিহারা গ্রামের হাজী আলী আকবরের ছেলে খাইরুদ্দীন আহমেদ স্বাধীন (২১), জেলা শহরের মাহমুদাবাদ এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান উজ্জ্বল (২১), শায়েস্তানগর এলাকার মৃত শাহ আরজত আলীর ছেলে আমিন শাহ (৩০) ও বাহুবল উপজেলার সারাংপুর গ্রামের ধনাই মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৫)।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ১২ সদস্যকে আহত করে ও দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে, বিএনপি নেতাদের দাবি তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দেয়। তারা লাঠিচার্জ করলে ৩ শতাধিক কর্মী আহত হয়। আহত জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ তুষার ও ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত পুলিশের এক কনস্টেবলকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা ও তার মুক্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দিলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মী ইটপাটকেল ছোড়েন ও অন্যদিক থেকে পুলিশ টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
এএটি