ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

মেলেনি অনুমতি

ফেনীতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম করতে চায় বিএনপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
ফেনীতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম করতে চায় বিএনপি

ফেনী: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) মহাসমাবেশ আয়োজন করতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

যদিও এখন পর্যন্ত সমাবেশের কোন প্রশাসনিক অনুমতি মেলেনি, তবুও যেকোন মূল্যেই মহাসমাবেশ করা হবে, এমন দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে।  

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাবেক হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাববুবুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাংসদের সভাপতি, যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদ সদস্যের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আওতায় প্রতি জেলার ন্যায় ফেনীতেও মহাসমাবেশ হবে। সমাবেশ সফল করার জন্য বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যর বিষয় আমরা জেলা প্রশাসক সঙ্গে সভার স্থান নির্ধারণের জন্য আলোচনা করেছি। কিন্তু ফেনী থানায় অনুমতির জন্য ফোন দিলে নানা রকম টালবাহানা করে।  তিনি বলেন, যতই টালহাবানা করুক সমাবেশ করা হবে। আমরা যে স্থানের জন্য আবেদন করেছি, সেস্থানে না করতে দিলেও অন্য স্থানে হলেও সমাবেশ করা হবে। অনুমতি না পেলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব প্রশাসনের, আমাদের কোন দায়িত্ব নেই।

সমাবেশ সফলের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল।  

তিনি বলেন, সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টা সভা করছি। বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মী সমাবেশ ঘিরে উজ্জীবিত রয়েছে। সমাবেশে হামলা করে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন বন্ধ রাখা যাবে না। আমরা মিজান ময়দান, শহীদ মিনার চত্বর, প্রেসক্লাবের সামনে এই তিনিটি জায়গার জন্য অনুমতি চেয়েছি। প্রশাসন থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি, অনুমতি দিক না দিক সমাবেশ হবেই, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দেশের ন্যায় জেলা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে এ সমাবেশের ডাক দিয়েছি।

তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে তিনটি জায়গার জন্য আবেদন করেছি। যেকোনো মূল্যে আমরা সমাবেশ করবো। অনুমতি না দিলে ভিন্ন কোন জায়গায় হলেও সমাবেশ করা হবে।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খোন্দকার বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার জন্য যুবদলের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। সমাবেশকে সফল করার জন্য ইতোমধ্যে জেলা যুবদলের ১১টি ইউনিটের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ৪৩টি ইউনিয়ন যুবদলের আওতাধীন ওয়ার্ডভিত্তিক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিএনপির এ সমাবেশ সফল করার জন্য যুবদল প্রস্তুত। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে এই সমাবেশে। প্রশাসন অনুমতি না দিলেও এই সমাবেশ সফল করার জন্য যুবদল মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল সবাই যৌথভাবে এই সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিটি ইউনিটের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে।  

জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, মহাসমাবেশ ঘিরে জেলা ছাত্রদলের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্য ছাত্রদলের সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ইউনিটের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে স্থানেই হোক সেদিন সমাবেশ হবেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।