মানিকগঞ্জ: পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মানিকগঞ্জের দুটি উপজেলায় ১৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় ২৪ জনকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
হরিরামপুর উপজেলায় ৯টি ইউপিতে ১২ জন এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৬টি ইউপিতে ১২ জনকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
হরিরামপুর উপজেলার বহিষ্কার হওয়া ১২ জন হলেন- গালা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিঠু মোল্লা, চালা ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুল আলম বিশ্বাস, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম মোল্লা, কাঞ্চনপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল শফি, একই ইউনিয়নের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফজাল হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন, গোপীনাথপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মিলন বিশ্বাস, হারুকান্দি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান চুন্নু, আজিমনগর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন যুব লীগের সদস্য আরব আলী শেখ, বলড়া ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আইয়ুব আলী, রামকৃষ্ণপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কামাল হোসেন এবং সুতালড়ী ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. সেকেন্দার বিশ্বাস।
অপরদিকে দৌলতপুর উপজেলার বহিষ্কার হওয়া ১২ জন হলেন- চরকাটারি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন আলম, একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আইয়ুব আলী মণ্ডল, মো. ইকবাল হোসেন ও বারেক মণ্ডল, বাঘুটিয়া ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন, জিয়নপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আতোয়ার রহমান, চকমিরপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুহাম্মদ শওমত আলী, একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. জুয়েল রানা, কলিয়া ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু হানিফ, ধামশ্বর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. তারেক রহমান এবং একই ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের উপদেষ্টা সদস্য আবদুল মজিদ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, দলীয় পদে থেকে যারা ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দলীয় পদে থেকে যারা নৌকার বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, তাদের সর্তক করা হয়েছে। কেউ নৌকা প্রতীকের বাইরে প্রকাশে বা গোপনে প্রচারণায় অংশ নিলে, তার বিরুদ্ধেও দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
আরএ