ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

নৌকা পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেলন আ.লীগের ৮ প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
নৌকা পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেলন আ.লীগের ৮ প্রার্থী

চাঁদপুর: পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে আওয়ামী লীগ মনোনীত বিজিত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তারা নৌকাকে পরাজিত করতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও সাবেক এমপি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ নেতারা একাট্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।

অসুস্থতার কারণে দুই বিজিত প্রার্থী উপস্থিত না থাকলেও বাকি ৮ প্রার্থী উপস্থিত হয়ে নিজেদের পরাজয়ের কারণ ব্যাখা করেন।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ফরিদগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৩ জন প্রার্থী নৌকার মনোনয়ন লাভ করি। দলীয় প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ব্যক্তি স্বার্থে নৌকা প্রতীককে পরাজিত করতে সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনে তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি এবং তাদের অনুসারীদের নৌকার বিপক্ষে মাঠে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন নিরপেক্ষতার আড়ালে নৌকাকে হারানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। নির্বাচনের আগেরদিন এবং নির্বাচনের দিন তাদের আচরণে তা স্পষ্ট হয়েছে।

নৌকা প্রতীককে পরাজিত করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শীর্ষ নেতা ও সাবেক এমপি প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। একই সঙ্গে স্বতন্ত্রের নামে বিএনপির-জামায়াতের প্রার্থীদের অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা নির্বাচন করার জন্য দিয়েছেন।

৫ নম্বর গুপ্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রকাশ্য সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হুমকি দিয়েছেন নৌকাকে বিজয়ী হতে দিবেন না বলে। তার অনুসারীরা এলাকায় গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আওয়ামী লীগের ভোটারদের না আসার জন্য অপচেষ্টা করেন। প্রশাসনের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে দলীয় কর্মীদের এলাকাছাড়া করেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্টদের প্রশাসনের মাধ্যমে বের করে দিয়েছে।

বিশেষ করে নির্বাচনের দিন একটি বিশেষ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে। নির্বাচনের দিন নৌকার কর্মীদের গুলি রাবার বুলেট মেরে কেন্দ্র হতে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার ঘটনা ছিল নিয়মিত।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে অপমানিত করতে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের অবস্থান দুর্বল করতে তাদের এই হীন প্রচেষ্টা।  

প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে বালিথুবা পশ্চিম ইউপির বাহা উদ্দিন, বালিথুবা পুর্ব ইউপির জি এম হাসান তাবাচ্চুম, সুবিদপুর পশ্চিম ইউপির পারভেজ হোসাইন, গুপ্টি পুর্ব ইউপির আব্দুল গনি বাবুল পাটওয়ারী, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, পাইকপাড়া উত্তর ইউপির আলা উদ্দিন, গোবিন্দপুর উত্তর ইউপির সোহেল চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।