ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘এত স্বচ্ছতার সঙ্গে ইসি গঠন অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও হয় না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
‘এত স্বচ্ছতার সঙ্গে ইসি গঠন অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও হয় না’

ঢাকা:  অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও সার্চ কমিটির মাধ্যমে এত স্বচ্ছতার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয় না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ৷ অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের আইন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার জন্মের তারিখ যেমন ঠিক নেই, পুরস্কারের তারিখও ঠিক নেই, পুরস্কারদাতাদের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।

খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ পাঁচটা, বিবাহ রেজিস্টারে একটা, পাসপোর্টে একটা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রেডেনশিয়ালসে একটা, ম্যাট্রিকুলেশনে যেটাতে তিনি ফেল করেছেন সেখানে একটা, আবার কোভিড সনদে একটা।

মন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) পুরস্কার পেয়েছেন ৩১ জুলাই ২০১৮, আর জানা গেল ২০২২ সালে। আর যে সংস্থা থেকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটে আবার তার নাম নেই। ' এ ধরনের তেলেসমাতি দেখার পর জনগণ যখন তাদের নিয়ে হাসছে, তখন খালেদা জিয়ার সভাসদরা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।

ইসি সার্চ কমিটি গঠন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানোরই ষড়যন্ত্র -বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) উন্মেষটাই তো ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আর মানুষের মরদেহের ওপর দিয়ে। তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের মধ্যেই থাকেন বলে সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পান। পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও সার্চ কমিটির মাধ্যমে এত স্বচ্ছতার সঙ্গে ইসি গঠন করা হয় না। বরং অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি  গঠনের আইন করা হয়েছে এবং সেই কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না, ইসির অধীনে হয়। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলির ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকে না। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এগুলো ভালো করেই জানেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন বলেই এসব কথা বলছেন। তাদের না বলা বাতিক নিয়ে আমি শঙ্কিত।

এর আগে বিআইসিসি হলে আহবাবুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশর উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২১ এর গ্রান্ড ফিনালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, যারা আলেম সমাজকে ধোঁকা দিয়েছে, তাদের শিক্ষাপদ্ধতির স্বীকৃতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করেছে, তাদেরকে না বলতে হবে। আর যারা আলেমদের জন্য কাজ করেছে, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, তাদেরকে হ্যাঁ বলতে হবে।

শায়েখ হাফেজ ক্কারী আব্দুল হকের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দোয়া পরিচালনা এবং আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান ও মাওলানা উবায়দুর রহমান অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ত্যথমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।