পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমানকে মারধর ও তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়া ওই মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় বক্তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ওই উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে বসে ওই উপজেলার চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালান স্থানীয় চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এসময় হামলাকারীরা তাকে বহন করা সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের বাসভবন থেকে সরকারি গাড়িতে করে পিরোজপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে মা কম্পিউটারের সামনে বসা সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী সজীব হাওলাদারসহ তিন-চারজন তার গাড়ি থামিয়ে চেয়ারম্যানকে কয়েকটি ঘুষি মারেন ও তার গাড়ির ডান পাশের গ্লাস ভাঙচুর করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ছেলে অসুস্থ হয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে দেখতে সোমবার রাত ৮টার দিকে আমি বাসা থেকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হই। এসময় আমার গাড়ি থামিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী সজীব হাওলাদারসহ তিন থেকে চারজন যুবক অতর্কিত হামলা করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হবে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, অভিযুক্ত সজীব হাওলাদার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, কামরুজ্জামান তুহিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও উত্তম কুমার আওয়ামী লীগ সমর্থক। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের মধ্যে সজীবের রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।
ফোন বন্ধ পাওয়ায় অভিযুক্ত সজীব হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখানো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
এসআই