ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

২ ভাইয়ের ঝগড়া, প্রাণ হারালেন আ’লীগ নেতা লিটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:২৫, এপ্রিল ৩০, ২০২২
২ ভাইয়ের ঝগড়া, প্রাণ হারালেন আ’লীগ নেতা লিটন

ময়মনসিংহ: র্দীঘদিন ধরে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে। এ বিরোধের জের ধরে শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের নিজ বাড়িতে আবারও দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

 

এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বড় ভাই ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন (৫১)।    

পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন।  

স্থানীয়রা জানান, কৃষিবিদ লিটনের সঙ্গে তার সহোদর ভাই মোশারফ হোসেন জুয়েলের পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঝগড়া হয়। এ সময় ছোট ভাই জুয়েল বড় ভাই লিটনকে মারতে এলে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  

কৃষিবিদ ড. সামিউল আলম লিটন ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মরহুম ডা. সুলাইমানের বড় ছেলে। তিনি কৃষি ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ছিলেন। গত এক যুগ ধরে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।  

লিটনের কনিষ্ঠ ভাই মোজাম্মেল হক রাসেলের অভিযোগ, তাঁর মেঝ ভাই জুয়েল বড় ভাই লিটনের ওপর সঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হঠাৎ সশস্ত্র হামলা করেন। এ সময় জুয়েল লিটনের বুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এর একপর্যায়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বড় ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জুয়েল পিস্তলের গুলি ছোড়েন। ওই গুলি লিটনের গায়ে না লাগলেও লাঠির আঘাতে তার বুকে ব্যথা অনুভব করলে আমি তাকে হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ভাইকে বাঁচাতে পারিনি। এই মৃত্যুর জন্য জুয়েল ও তার সাঙ্গপাঙ্গুরা দায়ী বলেও অভিযোগ করেন কনিষ্ঠ ভাই মোজাম্মেল হক রাসেল।  

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, দুই ভাইয়ের ঝগড়ার একপর্যায়ে লিটন অসুস্থ হয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। অনেক দিন ধরেই তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে, তখন এই মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।  

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় অন্য কিছু বিষয় জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান ওসি।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ