ঢাকা: সরকারের কারণেই দেশে সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২ মে) সকাল ১১টার দিকে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আজকে যদি কোন জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো, একাউন্টবেলিটি থাকতো তাহলে এমনটা (সয়াবিনের তেল সংকট) হতো না। জবাবদিহি সরকার হলে তারা মার্কেট ইন্টারভেশন করতেন, সয়াবিন তেলের যারা সিন্ডিকেট করছে, যারা কালোবাজারী করছে তাদেরকে গ্রেফাতার করতেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ, মধ্য আয়ের মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যেমন সয়াবিন তেল, চাল, ডাল, আটা যেগুলো খুবই প্রয়োজনীয় বেঁচে থাকার জন্য দরকার। সেসব জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তো না। এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে উন্নয়নের নামে যে টাকা পাচার হচ্ছে, ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি। এই ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এই স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমিকদের কোনো আয় বাড়েনি।
এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেবৃদ্ধির প্রতিবাদে রমজানজুড়ে বিএনপির নেওয়া ধারাবাহিক কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেন রিজভী।
ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অত্যন্ত কষ্টে তাদেরকে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। এমনিতেই তো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে অভিঘাত সেই অভিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত এদেশের সাধারণ মানুষ। তার উপরে ঈদে মানুষ কেনাকাটা করে, সন্তান-সন্ততিসহ আত্মীয়-স্বজনদের নতুন জামা-কাপড় দেয় সেই জামা-কাপড় কেনার উপায় ছিল না নিম্ন-মধ্য আয় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের। সবাই শ্রমিক এরা শ্রমজীবী মানুষ এদের প্রত্যেকের বাসায় কীভাবে ঈদ হচ্ছে আমরা জানি না। এরা তাদের সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের ঈদ উপহার দিতে পেরেছেন কিনা এটা আমার জানা নেই।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রিজভী শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২২
এমএইচ/এএটি