পাথরঘাটা (বরগুনা): স্বামীকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে বুধবার (৪ মে) সন্ধ্যার দিকে ১০৯ এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুন পাথরঘাটা উপজেলা শাখা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে।
স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার জানান, বুধবার বিকেলে পৌর এলাকায় তাদের নিজ বাসায় কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করছিলেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মামুন। এ সময় তিনি তার স্বামীকে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে ১০৯ কল করলে রাতে থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানেও কিছু বখাটে নিয়ে এসে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে মামুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মাস দুই ভালোভাবে সংসার করার পর দেখতে পান মামুনের সব ভয়ঙ্কর রূপ। বিভিন্ন লোকের দ্বারা তিনি মাদক বিক্রি করান এবং নিজেও মাদকাসক্ত। বাসায় বসে প্রতি রাতে বখাটেদের নিয়ে মামুন ইয়াবা সেবন করেন। এ সময় বাধা দিলেই শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে বারবারই মামুন বলেন, পরবর্তীতে ইয়াবা সেবন করবেন না এবং ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু ১৫ দিন বা এক মাস পর একই অবস্থা শুরু করেন তিনি।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুন সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উল্টো তার স্ত্রী ফেরদৌসী তাকে মারধর করতেন। তার ব্যবহার খুবই খারাপ এবং আমরা পুরুষ জাতি এরকমের নারীর কারণে আজ নির্যাতিত।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসার জন্য মেয়েটাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আমরা লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২২
আরএ