ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আঘাত এলেই পাল্টা আঘাত করতে হবে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
আঘাত এলেই পাল্টা আঘাত করতে হবে: গয়েশ্বর কথা বলছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ করবো, আপনারা আগামীতে শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন, রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আপনারা মূল্যায়িত হবেন, জাতির কাছে সম্মানিত হবেন।

টেলিভিশনে ছবি তোলার প্রবণতা আমাদের বদলাতে হবে। এখন সময় নেই। এখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়। ছাত্র-যুবকরা যেই স্লোগান দিতেন, সেই স্লোগান দিতে হবে। স্লোগান দিতে হবে অ্যাকশন, অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, খালেদা জিয়ার অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, তারেক রহমানের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

কুমিল্লায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কুমিল্লায় ড. মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে হামলা হয়েছে, ফেনীতে ভিপি জয়নালের বাড়িতে হামলা হয়েছে। আরও অনেক জায়গায় হামলা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া খোঁজ রাখে না। এটা তাদের (ক্ষমতাসীনদের) পরিকল্পিত মহড়া। এখন হামলার প্রতিবাদ নয়; প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, হামলা হলে পাল্টা হামলা, আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। যেখানেই হামলা সেখানেই প্রতিরোধ সেখানেই পাল্টা হামলা এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অন্যায়ভাবে শুধু আমি মার খাব, আমি মার খাওয়ার দায়িত্ব নেব, অন্যরা আমাকে মেরে যাবে-এটা সংবিধানে নেই। আমরা যা করি সংবিধান সম্মত।

বিএনপির ওই নেতা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, কথা বলার অধিকার আছে, আমার মিছিল করার অধিকার আছে, হরতাল-অবরোধ করার অধিকার আছে। এতে যারা বাধা দেবে, তাদের আমরা মোকাবিলা করবো। পোশাকে হোক বিনা পোশাকে হোক আর ছাড় দেওয়ার সময় নেই। আর মুখ বুঝে পিঠে লাঠির মার খাওয়ার সময় নেই।

এ সময় সরকারের মন্ত্রী-এমপি তাদের আত্মীয় স্বজনের দুর্নীতি ও মুদ্রা পাচার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, লুটপাটের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। জনগণ দেশ স্বাধীন করেছে সুখে থাকার জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখার জন্য। আমরা সেই রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, আমরা জনগণকে ক্ষমতাবান করতে লড়াই করছি। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির ওই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হোক তা চাই না। আমরা চাই মান-সম্মানের সঙ্গে আপনারা ক্ষমতা থেকে প্রস্থান করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। এরপর নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দেবে তারা সরকার গঠন করবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নিরব, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।