ঢাকা: পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য দেশ নির্মাণে সবাইকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক৷
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আবাসযোগ্য দেশ প্রতিষ্ঠায় ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে বাংলাদেশ ডেলটা প্লান -২১০০ ইমপ্লিমেটেশন প্রসেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং পথ এগিয়ে শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’গ্রহণ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা বর্তমান প্রজন্মের কাছ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সেরা উপহার। এই মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালে আমাদের কী অর্জন করতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণে করণীয় এবং ২০৫০ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের পানি সম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম অনেক বেড়েছে এবং একইসঙ্গে কাজের মানও বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত সংস্থাসমূহের কার্যক্রমে গতিশীলতার সঞ্চার হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডেল্টা প্ল্যানে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ছয়টি হটস্পট। যেগুলো মূলত পানি ও জলবায়ু উদ্ভুত অভিন্ন সমস্যাবহুল অঞ্চল। এগুলো হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী অঞ্চল-মোহনা এবং নগরাঞ্চল। পরিকল্পনায় হটস্পট-ভিত্তিক সমস্যাগুলো আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের অর্থনীতি আজ সমৃদ্ধ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে চলেছে। এই মহাপরিকল্পনা অধিকাংশ কাজ বাস্তবায়ন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর ইতোমধ্যে কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়োজিত হয়েছে। নদীর তীর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ। হাওরাঞ্চলে টেকসই প্রকল্প গ্রহণের ফলে এবছর কৃষকরা হাসিমুখে ফসল ঘড়ে তুলতে পেরেছেন। উপকূলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। নদী বা খালের ন্যাব্যতার লক্ষ্যে ড্রেজিং ও বনায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পানি সম্পদ উন্নয়নে ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা দান করবে এবং পানির দূষণ কমাতে সক্ষম হবে।
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। আরো উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য খান মো. নুরুল আমিন-বিভাগীয় প্রধান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস