ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

গায়ের জোরে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না: মান্না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
গায়ের জোরে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না: মান্না

ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গায়ের জোরে বেশ কিছু দিন ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু দীর্ঘ দিন থাকা যায় না। এই সরকার যে চুরি, ডাকাতি, গুণ্ডামি করে ক্ষমতায় আছে এটা সারা দুনিয়া জানে।

মঙ্গলবার (৫জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক মামুনূর রশীদ নোমানীর ওপর হামলাসহ সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।  

মান্না বলেন, আমি বলি গায়ের জোরে বেশ কিছু দিন ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু দীর্ঘ দিন থাকা যায় না। এই সরকার যে চুরি, ডাকাতি, গুণ্ডামি করে ক্ষমতায় আছে। এটা সারা দুনিয়া জানে। ওরা যে র‌্যাবকে দিয়ে গুণ্ডামি করে। র‌্যাব একটা এলিট ফোর্স, সম্মানিত বাহিনী হওয়ার কথা। আমাদের দেশের পুলিশ মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার কথা। তাদের দিয়ে ব্যালট বাক্স ডাকাতি করায়, তাদের দিয়ে জনগণের ওপর  নির্যাতন করায়। এই জন্যে আমেরিকার মতো দেশসহ পৃথিবীর অনেক বড় বড় দেশ পুলিশ-র‌্যাবের বড় কর্মকর্তার ওপরে স্যাংসন বা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।  

তিনি বলেন, বিশ্বের বড় গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো জানে, আমাদের আশে পাশের যতগুলো দেশ আছে তারা সবাই জানে যে বাংলাদেশে কথা বলার অধিকার নাই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অধিকার নাই। তারা জানে বাংলাদেশে এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর কিছু বলার অধিকার নাই।

মান্না বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে একজন হাত দিয়ে নাট-বল্টু খুলেছেন। আমি সরকারকে বলি। ওকে যে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেন তার সম্পর্কে সব কথা বলেছেন, ওকে কেন একটা কথা বলতে দিলেন না, কিছু লিখতে দিলেন না? যদি সে রেঞ্জ দিয়ে নাট খুলে থাকে তাহলে সেই ছবি আমাদের দেখাতে পারতেন না কিন্তু সেটাতো দেখাননি। রেঞ্জ দিয়ে নাট খোলার ছবি দেখান। যদি না দেখাতে পারেন তাহলে নিরীহ একজন টিকটকারকে কেন জেলে রেখেছেন?

কতজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছেন প্রশ্ন করে মান্না বলেন, কতগুলো মানুষকে দিনের বেলা, রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গুম করেছেন তাদের কথা বলা যায় না। সরকারের এখন অবস্থা এরকম আমরা ভোট ডাকাতি করে ডাকাতরা ক্ষমতায় আছি। কোনো নির্বাচন হয়নি, মানুষ ভোট দেয়নি, তবুও ১২বছর ধরে ক্ষমতায় আছি।

সরকার এখন বাহানা বের করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বলে আমরা ভোট দেব আসেন সবাই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছে বিএনপিকে একটু বোঝান তারা যেন নির্বাচনে আসে। মানে এবার একটু সরকার বেকায়দায় আছে। আমরাও সবাই মিলে বলেছি। ওরা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। আমরা সে নির্বাচনে যাবো না। আমি সমস্ত দলকে অনুরোধ করি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে আসেন। সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতন বন্ধ করতে রাজপথে আসেন। সাংবাদিকরা যাতে লিখতে পারে সেই অধিকারের দাবিতে সবাই রাজপথে আসেন। সরকারের বিরুদ্ধে একটা সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও আবদুল্লাহ আল নাঈমের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, এনপিপির যুগ্ম-মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন ইসা, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার।

 বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ০৫ জুলাই, ২০২২
এমএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।