ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বিএনপি-জামায়াত সুযোগ পেলে দেশকে পাকিস্তান বানাবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
‘বিএনপি-জামায়াত সুযোগ পেলে দেশকে পাকিস্তান বানাবে’

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত যখনই সুযোগ পাবে এই দেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান শাসনের মতো দুঃশাসনে পরিণত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল, তারা এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে রয়েছে। এখনও তারা ধ্বংস হয়নি। এখন তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোহে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায়। এখন শুধু তারা বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরোধিতা করে না, তারা তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তারা যে কোনো উপায়ে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চায়। এর জন্য তারা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে দেশ অস্থিতিশীল করতে চায়। এরাই দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, শুধু গণতন্ত্রের লেবাস ধরে থাকে।

তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদার আসন রয়েছে। এই বিএনপি-জামায়াত আমাদের এই মর্যাদার আসন থেকে ছিটকে ফেলে দিতে চায়। তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোন কর্মসূচি দিতে পারে না। তারা উন্নয়ন ও গঠনমূলক সৃজনশীল কোন কর্মকাণ্ড করতে পারে না। তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটাতে চায়। তারা জঙ্গিদের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এই বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার গণতান্ত্রিক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের হত্যা করেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত এনেছে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাসী অফিসার জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সে সময় কিছু সংখ্যক সেনা অফিসার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিল না তারাই এ ঘটনা ঘটায় এবং তাদের সাথে দেশ ও আন্তর্জাতিক শক্তি মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে মূল সেনাবাহিনী সংযুক্ত ছিল না। এরা মহান স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। জাতির পিতার নেতৃত্বে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলেছে তখন এই অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুদ্ধের নামে পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছিল।

তিনি আরও বলেন, একটি দল এখনও সে খুনিদের ভাষায় কথা বলে। আমরা এখন চাই উন্নয়নের পথে হাঁটতে, এগিয়ে যেতে। এই পথযাত্রায় যেখানেই বাধা আসবে আমরা সেখানেই প্রতিবাদ করব। বিএনপি-জামায়াত যখনই সুযোগ পাবে এই বাংলাদেশকে আফগানিস্তানের মতো বানাবে অথবা পাকিস্তান শাসনের মতো দুঃশাসনে পরিণত করবে। এরা সুযোগ পেলেই দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করবে। তখন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিপন্ন হবে ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন হবে। আমরা জাতির পিতার সৃষ্ট বাংলাদেশে এমন কোন কিছু হতে দিতে পারি না। তাই এদের এমন কোনো কর্মকাণ্ড দেখলে আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করব।

শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের সভাপতি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad