ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনোনয়নপত্রের ব্যাংক ড্রাফটসহ কাগজপত্র ছিনতাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনোনয়নপত্রের ব্যাংক ড্রাফটসহ কাগজপত্র ছিনতাই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্রের ব্যাংক ড্রাফটসহ কাগজপত্র ছিনতায়ের অভিযোগ করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দুরুল হোদা।  

সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জেলা নির্বাচন অফিসের নিচ তলায় বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

দুরুল হোদা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন ফরম নিতে যান।


দুরুল হোদা মোবাইল ফোনে বলেন, দুপুর ২টার দিকে আমি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে যাই। অফিসে ঢোকার পথে সিঁড়ির কাছে আমাকে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করে আমার সব ফাইলপত্র কেড়ে নেয়। এরপর আমাকে অফিসে ঢুকতে না দিয়ে জোর করে বের করে দেওয়া হয়। জেলা নির্বাচন অফিসে সিসি ক্যামেরায় সব কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রয়েছে।

কারা সন্ত্রাসী হামলা করেছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাদের চিনতে পেরেছি। তারা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিনের লোকজন। তারা আমার ব্যাংক ড্রাফটাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এখন মনোয়নয়পত্র নেওয়ার আর কোনো পথ নেই। আমি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েছি, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। বর্তমানে আমি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন জানান, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই, আমি শহরের বাইরে আছি। এমন কোনো কথাও আমার কানে আসেনি। আমার লোকজন না, হয়তো অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, আমি তো আমার অফিসের তিনতলায় বসে আছি। এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।  

সিসি ক্যামেরা চেক করার কথা বললে তিনি বলেন, আমার অফিসের সিসি ক্যামেরা নষ্ট।  

উল্টো এ কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন, তিনি (দুরুল হোদা) তো আমাকে বিষয়টি জানাতে পারতেন। আপনার কাছ থেকে প্রথম অভিযোগ শুনলাম। আগামীকাল আমার অফিসে পুলিশ মোতায়েন করব।

জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা একেএম গালিভ খাঁন জানান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন যে নির্বাচন অফিসে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে বুধবার পর্যন্ত কোনো মনোনয়নপত্র জমা হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।