ঢাকা, সোমবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ জুন ২০২৪, ২৫ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন: মেজর হাফিজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন: মেজর হাফিজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ এটা মেনে নিতে পারছে না।  

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মেজর (অব) হাফিজ বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক বড় নেতা ছিলেন, পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। মেজর জিয়ার ঘোষণার পর পরই ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সৈনিকরা বিদ্রোহ করে। এটা মেনে নিতে পারছ না আওয়ামী লীগ।  

মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাফিজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা ছিল ৯০ হাজার এখন আড়াই লাখ। কোথা থেকে এলো এত মুক্তিযোদ্ধা? যারা অমুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে তারাই মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করেছে।  

‘আওয়ামী লীগ করলেই যদি মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় তাহলে আমরা কেন জীবন দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান দিলে তারা সন্মান পাবে না বলেই ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করতে এত মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে। ’ বলেন এই বীর মুাক্তিযোদ্ধা।  


তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিবিদরা কাউকে সন্মান করে না। সবাই নিজের দলকে বড় মনে করে। একাত্তরের যুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। সর্বস্তরের মানুষের কষ্টের কথা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।  

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক কোনো নেতা বলেনি। সবাই ছয় দফার কথা বলেছে। এক দফার স্বাধীনতার কথা আওয়ামী লীগও বলেনি। মুক্তিযুদ্ধের ১ বছর আগ থেকে মাওলানা ভাসানী বলেছেন স্বাধীনতার কথা।

‘দেশকে স্বাধীন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। এদেশের যত লুটপাট করেছে রাজনীতিবিদরা। মুক্তিযোদ্ধারা করেনি। ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরাজিত হতে শুরু করে। ’ বলেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা।  

যারা জীবন বিপন্ন করে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদেরকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শুধু শোনানো হয়। রাজনীতিবিদরা মনে করে মুক্তিযুদ্ধাদের কৃতিত্ব দিলে তারা তারা ছোট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আদালত এখন নীরবে নিভৃতে কাঁদে। বাংলাদেশের মানুষের মতো এত অসহায় কোনো জাতি নেই। আমাদের করণীয় হলো জনগণকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করে স্বপ্নের দেশ গঠন করা। আমাদেরকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সরকারকে টেনে নামাতে চাই। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামতে চাই।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেজর (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
এনবি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।