ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, যে দেশের গণমাধ্যম যতটা স্বাধীন, সে দেশের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী। একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে সহজেই বোঝা যায়, সে দেশের গণতন্ত্রের হাল হকিকত।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য (এনইউজে) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজ সিজিএসের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, গেল ২ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। এ কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হোক।
জিএম কাদের বলেন, টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে। প্রাণ খুলে কেউ কথা বলতে পারে না। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে। গণমাধ্যম দুর্বল হলেই সমাজে জবাবদিহিতার ঘাটতি হয়, ফলশ্রুতিতে দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের গণমাধ্যমকে দুর্বল করে পরোক্ষভাবে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করা হচ্ছে।
জাতীয় সাংবাদিক ঐক্যের আহ্বায়ক খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সাংবাদিক ঐক্যের সদস্য সচিব মিজান আহমেদ, এনইউজে রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবু, এনইউজের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান শিশির, কেন্দ্রীয় সদস্য একে সালমান, সুমন ইসলাম, আসাদুজ্জামান আফজাল, রিপন মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এসএমএকে/আরবি