ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে মাথাব্যথা কেন, নিজেদের অবস্থা দেখুন’ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে মাথাব্যথা কেন, নিজেদের অবস্থা দেখুন’  ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিদেশি দূতাবাসগুলোকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে মাথাব্যথা না করে নিজেদের দেশের অবস্থা দেখতে বলেছেন।

সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরাও সেভাবেই নির্বাচন দেব। বিভিন্ন দূতাবাস অভিযোগ করে, তাদের বলতে চাই—গণতন্ত্রের গল্প শোনান, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন? আগে নিজেদের দেশের অবস্থা দেখুন। তারপর বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলুন। এসব না করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামান। বিশ্বের তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। অস্থির পৃথিবীকে শান্ত করুন। দোষ করবেন আপনারা, বড় বড় দেশগুলো, আর সাফার করতে হবে আমাদের ছোট দেশগুলোকে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গলিত লাশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না! বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করছে, তারা যাই করুক না কেন গলিত লাশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না!

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজামণ্ডপে গিয়ে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুর্গাপূজার মধ্যে লালবাগের গ্রুপ পলিটিক্স কেন প্রশ্ন করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের ঢাকেশ্বরীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে লালবাগ আওয়ামী লীগের দুই-তিনটি গ্রুপ মিছিল, শোডাউনে তৎপর হয়ে ওঠে। এ সময় মাইকে বার বার মিছিল-স্লোগান বন্ধ রেখে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তো পূজা, ভুলে গেছেন? এটা ঢাকেশ্বরীর ঐতিহ্যবাহী পূজামণ্ডপ, এখানে আমি কারো লাল গোলাপ শুভেচ্ছা নিতে আসিনি। এই দুর্গাপূজার মধ্যেও লালবাগের গ্রুপ পলিটিক্স কেন, আমি জানতে চাই। আপনাদের শোডাউন দেখতে আমি এখানে আসিনি। সব জায়গায় শোডাউন দিতে হবে? আমি দেখেছি আমি ঢুকতেই পারছিলাম না। এইসব শোডাউন সংশোধন না হলে আগামী নির্বাচনে এই ধরনের লোককে মনোনয়ন দেবো? শোডাউনের লোককে দেবো না। কী করবেন? আমি নেত্রীকে রিপোর্ট করবো কী কী হচ্ছে এখানে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হিন্দুরা এখানে পূজা করতে আসছে, মা-বোনেরা আসছে, এদের সামনে আপনারা মল্লযুদ্ধ দেখাচ্ছেন? কার কত শক্তি দেখাচ্ছেন? আমি এগুলো দেখতে চাই না। সবার এসিআর জমা আছে। শোডাউন দেখিয়ে ফায়দা নেবেন, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এরা যার যার স্লোগান দেয়, প্রত্যেকেই যার যার শোডাউন করছে, মনে করছে এক বছর পর নির্বাচন নেতারে দেখাই।

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।