ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে’

ঢাকা: আকস্মিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুটহাট বাড়ানো সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য মতে বাংলাদেশে পণ্যের দাম বেড়েছে অত্যাধিক বেশি।

অথচ সাধারণ জনগণের আয় বাড়েনি। জীবনমানের উন্নতি হয়নি। ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, ভোজ্যতেল ও সারের মূল্য যেভাবে হুটহাট করে বাড়ানো হয়েছে তাতে দেশের জনগণ হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আস-সাঈদ মিলনায়তনে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আমেলার মাসিক বৈঠকে অধ্যক্ষ মাসউদ এসব কথা বলেন।  

মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নগর সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী ফরিদুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, দফতর সম্পাদক মুফতী নিজাম উদ্দিন, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক ডাক্তার মুজিবুর রহমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলীসহ নগর নেতারা।

অধ্যক্ষ মাসউদ বলেন, রাজধানীতে ফজরের পর থেকেই গ্যাসের অভাবে বিকেল প্রায় ৩টা পর্যন্ত চুলায় আগুন জ্বলে না। রান্নাবান্না বন্ধ থাকে বাসাবাড়িগুলোতে। অথচ দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কল কারখানা, ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুতের খবর নেই অথচ দাম বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকার জানে দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিলে জনগণ মেনে নিতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, জুলুমের শিকার জনগণ ফুঁসে উঠলে আপনাদের পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছ থেকে জিম্মি দশা থেকে বেরিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। নচেৎ ব্যর্থতার দায়ে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।

সভায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর বাদ জুমা রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।