ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো: মোশাররফ

ঢাকা: সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুখাতে ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  

তিনি বলেছেন, এখন এত লোডশেডিং হচ্ছে তাহলে বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো?

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘তারেক রহমান: গণতন্ত্রের অগ্রপথিক ছবির অ্যালবাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রধানমন্ত্রী বললেন, লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তো আজকে সেই লোডশেডিং জাদুঘর থেকে বেরিয়ে আসলো কিভাবে? এই ঢাকা শহরে ২৪ ঘণ্টায় কতবার লোডশেডিং হয় আপনারা ভালো জানার কথা। গ্রাম দেশে তো ১০/১২/১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। এতো লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ খাতের এতো হাজার হাজার কোটি টাকা গেলো কোথায়?

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনারা এখনই বলেন, আগামীতে দুর্ভিক্ষ হবে, হারিকেন নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন জনগণকে। তাহলে এতো টাকা খরচ করে, এতো টাকা আপনারা বিদেশে পাঁচার করলেন। তাহলে আপনারা নিজেরা নিজেদেরকে ব্যর্থ বলে সাক্ষী দিচ্ছেন। জনগণের কথা হচ্ছে ‘এনাফ ইজ এনাফ’। আপনারা দয়া করে বিদায় হোন। আপনারা কিছুই পারবেন না। সবই যদি বিএনপির কারণে হয় তাহলে আপনারা কেনো ক্ষমতায় আছেন। জনগণের দাবি এই সরকারের অনতিবিলম্বে বিদায়।

তিনি বলেন, এই সরকারকে বিদায় না করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না, এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। তা না হলে নির্বাচন এদেশে সুষ্ঠু হবে না, নিরপেক্ষ হবে না। অতীতেও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সম্প্রতি গাইবান্ধায়ও উপনির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা আজকে প্রমাণিত যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, ডাকাতি হয়। সেকারণে আমরা বলেছি যে, এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচনও হবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে না হটালে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। সেজন্য জনগণ জেগে উঠেছে। আমাদের দায়িত্ব জনগণকে সংগঠিত করে এই সরকারকে হটানো, দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ভোটে এদেশের জনগণের তাদের নিজেদের হাতে ভোটের ব্যবস্থা করাই আমাদের টার্গেট। সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এমএইচ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।