ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সমাবেশে জনসমাগম দেখানোর চ্যালেঞ্জে কতটুকু সফল কাদের?

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
সমাবেশে জনসমাগম দেখানোর চ্যালেঞ্জে কতটুকু সফল কাদের?

ঢাকা: বিএনপির একের পর এক জনসমাবেশে অতীতের চেয়ে নাকি জনসমাগম বেশি। এ দাবি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

তার দাবি, চট্টগ্রামের সমাবেশে কয়েক লাখ নেতাকর্মী-সমর্থক এসেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দাবি, ওই সমাবেশে কয়েক লাখ নয়, বড়জোর লাখ খানেক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলে লাখ লাখ মানুষ তাতে অংশ নেবেন।

গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এ দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ক্ষমতাসীনদের সমাবেশ। এতে অংশ নেন বহু মানুষ। চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যত মানুষ হয়েছে নিজেদের সমাবেশে তার চেয়েও বেশি মানুষ হবে বলে ওবায়দুল কাদের যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, তাতে তিনি সফল হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ যখনই সমাবেশ-সম্মেলন করে তখনই মানুষের উপস্থিতি হয় অভাবনীয়। যেখানেই অনুষ্ঠান করা হয় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ওবায়দুল কাদের যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন, তাতে তিনি সফল। আওয়ামী লীগ একটি সফল দল। সভা-সমাবেশ-সম্মেলনে সফল। দেশ পরিচালনায় সফল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল নেত্রী, ওবায়দুল কাদের তার সফল কর্মী, তথা আওয়ামী লীগের একজন কনিষ্ঠ সদস্যও নিজের জায়গায় সফল বলে দাবি করেন তারা।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মানুষের ঢল নেমেছিল সমাবেশের শুরু থেকেই। সমাবেশ শুরুর মুহূর্তেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শেরেবাংলা নগরের মাঠটি। মিছিল-স্লোগানে মুখর পুরো পরিস্থিতি হয়েছিল শেরেবাংলা নগর এলাকা।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সপ্তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, আসাদ গেট, ফার্মগেট, মিরপুর, শ্যামলী এলাকা পর্যন্ত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শেরে বাংলা সড়কেও কয়েক হাজার মানুষ সম্মেলনে ঢুকতে না পেরে অপেক্ষায় ছিলেন। সম্মেলন শুরু হওয়ার পরও ছোট ছোট ভ্যান, বাস ও ট্রাকে করে নেতাকর্মীরা আসছিলেন।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার সম্মেলনে কত লোক হয়েছে খবর নেন। রংপুরের ছবিও দেখুন, আমাদেরটাও দেখুন। এখানে তো শেখ হাসিনা নাই। পলো গ্রাউন্ডে দেখাব। সেখানে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। আপনারা ১০ লাখ মুখে বলবেন, আমরা বাস্তবে দেখাবো।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের জনপ্রিয় ডায়লগ ‘খেলা হবে’ বলে স্লোগান দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলন-নির্বাচন-ভোট চুরি-জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

পরে ঢাকা জেলার সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম। সমাবেশে অংশ নেওয়া প্রত্যেক নেতাকর্মী-সমর্থকদের এ সময় স্বাগত জানান তিনি।

এ সময় ঢাকা জেলার পাঁচ আসন থেকে পাঁচজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে খেলা শুরু করার কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। ঢাকাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।