বরিশাল: মহাসমাবেশ শুরু হতে এখনও কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকলেও বরিশাল নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে জেলা-উপজেলার নেতকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। যদিও দুদিন আগে থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো নেতাকর্মী সমাবেশস্থল বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অবস্থান করছিলেন।
তবে শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল নগরের বিভিন্ন অলি-গলি থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসছেন। মিছিলের সামনে বিশাল বিশাল ব্যানারও শোভা পাচ্ছে। তার ওপর মিছিল ভেদে মাথায় এক রংয়ের টুপি, গায়ে গেঞ্জি ও হাতে জাতীয় পতাকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিমেল বলেন, সরকার দল শত বাধা দিয়েই সাধারণ মানুষসহ নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি। সকালে বরিশাল নগরের চিত্রেই বলে দিচ্ছে কত মানুষ বিএনপির বিভাগীয় এ গণসমাবেশের আয়োজনে যোগ দিতে বরিশালে এসেছে। বরিশাল তো এরইমধ্যে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়ে গেছে। চারদিক থেকে মানুষ মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছে। এরইমধ্যে সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, মানুষ যে যার মতো করে কয়েকদিন আগে থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে বরিশালে এসেছে। যারা বাকি ছিল তারাও কোনো না কোনোভাবে গত রাতে বরিশালে এসে পৌঁছেছে। এখন সবাই মহাসমাবেশমুখী হচ্ছে। কোনোভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায়নি।
এদিকে বরিশালে বিএনপির সমাবেশে আসার পথে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গাড়িতে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকেও বরিশালে যেতে দেওয়া হয়নি। গৌরনদী থেকে তার গাড়ি ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলযোগে পটুয়াখালী থেকে বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে আসার পথে হামলার শিকার হয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান। এতে শাহজাহান খানসহ তার সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এমএস/আরবি