ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

৭ নভেম্বর সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
৭ নভেম্বর সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচি

ঢাকা: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। সোমবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোয় এসব কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পতাকা উত্তোলন, উন্মুক্ত আলোচনা সভা, জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা।

তিনি জানান, দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল সকাল ৬ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে। ইতোমধ্যে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে পোস্টার পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের আটকের ব্যাপারে বলেন রিজভী। তিনি বলেন, শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশে যোগ দিয়ে সুলতানা লঞ্চে ঢাকা আসেন। সদরঘাটে পৌঁছার পর তিনি গাড়িতে চড়ে কিছুদূর এগিয়ে গেলে র‌্যাবের একটি দল তাকেসহ কয়েকজনকে আটক করে নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সুলতানা আহমেদ এখন র‌্যাব-৩’র কার্যালয়ে। এই ঘটনা শুধু অমানবিকই নয়, একজন সম্মানিত নারী নেত্রীর প্রতি চরম অবমাননা এবং সরকার প্রধানের ব্যক্তিগত ক্রোধ চরিতার্থ করার বর্ধিত প্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, দেশে শুধু বিরোধী দলীয় পুরুষ নেতাকর্মীরাই নয়, নারী নেত্রীরাও সরকারি আক্রোশ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। দেশে শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই ভয়ানক ভয়ের পরিবেশের মধ্যে দিন যাপন করছে। সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণের কারণে যে কেউ মারাত্মক সরকারি জুলুমের মধ্যে পড়তে পারে। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সেই জুলুমেরই শিকার হয়েছেন। সরকার জুলুমের নানা ধরণের বৃত্ত রচনা করেছে। সুলতানা আহমেদকে তুলে নিয়ে কোন ‘আয়নাঘরের’ কয়েদখানায় রাখা হয়েছে সেটি আমরা কেউ জানি না।

নারী নেত্রী সুলতানাকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান রিজভী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
এমএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।