ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির জন্ম গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের আস্থায় রেখে পথ চলছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জিয়াউর রহমান দেশের বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব সংস্কার এবং উন্নয়ন করেছেন। এটাই জিয়াউর রহমানের বড় বৈশিষ্ট্য। তার সঙ্গে কোনো রাজনীতিবিদের তুলনা হয় না। তার মতো সংস্কার দেশের কোনো শাসক করেনি। সব শাসক এখন করলেও তার সমান হবে না। তাকে জর্জ ওয়াশিংটনের মতো বলা চলে। জিয়াউর রহমান সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তার সঙ্গে তো আর কারো তুলনা হয় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই মেধা ভিত্তিক রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে। এজন্যই বিএনপি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের কথা বলছে। যারা পেশীশক্তি দিয়ে রাজনীতি করতে পারে না। অর্থ নেই কিন্তু মেধা আছে তারা তো সমাজেরই অংশ। তাদের নিয়েও আমরা আপার হাউস এবং লোয়ার হাউস সংসদ গঠন করবো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতিতে মেধাবীদের সমন্বয় ঘটবে। এক্ষেত্রে পেশাজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে শেখ হাসিনা দেশকে যেখানে নিয়ে গেছে সেখান থেকে বের হতে হলে নতুন নতুন চিন্তা করতে হবে।
সভায় ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ৭ নভেম্বর ছিল জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিন জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্ত করা হয়েছিল। এরপরই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা হয়। আধিপত্যের বিরুদ্ধে সেদিন মানুষ রুখে দাঁড়িয়ে ছিল। জাতির ক্রান্তিকালে হাল ধরেছিলেন জিয়াউর রহমান।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জেডআরএফের অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. আবুল কেনান, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সায়েম মনোয়ার, প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস