ঢাকা: জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সমাবেশ চলছে। এ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল সমাবেশে জড়ো হতে শুরু করেছে। সমাবেশে আহত নেতাকর্মীরা অনেকের হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্ল্যাকার্ড বহন করছেন। রং-বেরঙের গেঞ্জি পরে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছেন।
দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে দুপুর ১২টা আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আসেন। অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, ঢাকা উত্তরের পল্লবী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে এসেছেন নেতাকর্মী।
গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম মোল্লা কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর মিছিল নিয়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে আসেন। তাদের প্রত্যেকের মাথায় ছিল একই রকমের ক্যাপ।
হালিম মোল্লা জানান, মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৪ বছর ঘরবাড়ি ছাড়া। তাদের আর হারানোর কিছু নেই। এবারের আন্দোলন হচ্ছে তাদের জীবন-মৃত্যুর। হয় দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, নয়তো মৃত্যুবরণ করতে হবে। সংগঠনের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন।
তার অনুসারীদের ব্যাগে দুপুরের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হবে। এরপরে আর খাওয়ার সুযোগ তাদের হবে না। তাই সমাবেশের ফাঁকে খাবার খেয়ে নিতে তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত সমাবেশে থাকতে পারেন।
ঢাকা মহানগরের স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী ইলিয়াস বলেন, তারা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নাইটেঙ্গেল মোড়ে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন এসেছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের পরও নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। গ্রেফতারের আতঙ্ক থাকলেও এখন আর তারা সেটাকে পরোয়া করছেন না। সাধারণ জনগণও অতিষ্ঠ হয়ে ব্যাপকহারে অংশ নিচ্ছেন। এবার দেশের মানুষের বিজয় হবেই, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস