নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জকে বলা হয় সকল আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। ব্রিটিশ আমল থেকে দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা ছিল নারায়ণগঞ্জের।
সারাদেশেই রাজনৈতিক আবহাওয়া এখন উত্তপ্ত। টান টান উত্তেজনায় চলছে সম্মেলন, সমাবেশ, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এই আন্দোলন সংগ্রামেও নারায়ণগঞ্জের দিকে তাকিয়ে আছে মাঠে সক্রিয় থাকা দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। বিএনপি চায় রাজপথে জোরালো ভূমিকা নিয়ে সক্রিয় থাকুন নারায়ণগঞ্জ। আ. লীগ চায় যেকোনো সময় যেন আন্দোলন সংগ্রাম ঠেকাতে তাদের কর্মীরা নারায়ণগঞ্জে প্রস্তুত থাকে। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকেই এখন তাকিয়ে আছে দুই দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি নানা ইস্যুতে মাঠে রয়েছে দেশের বড় দুই দল। বিভিন্ন কর্মসূচি, জাতীয় বিভিন্ন দিবস, বিভিন্ন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নিয়ে রাজপথে সরগরম আ. লীগ-বিএনপি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন বিএনপি কর্মী শাওন। তার মৃত্যুতে পুলিশকে দায়ী করছে বিএনপি। এ নিয়ে সারাদেশ উত্তাল হয়, বিক্ষোভ-মিছিল-প্রতিবাদ হয় সারাদেশে।
পাশাপাশি দলের কমিটি, কাউন্সিল, আগস্ট মাসকে ঘিরে মাঠ দখলে রাজপথে নামে আওয়ামী লীগ। দলীয় যেকোনো সভা সমাবেশ এখন তারাও নিয়মিত পালন করছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ দখলে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। শান্তিপুর্ণ আন্দোলন সংগ্রামের আড়াতে যেকোন নাশকতা প্রতিরোধে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছে কেন্দ্র। জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরাও এখন ধীরে ধীরে রাজপথে নানা ইস্যুতে সক্রিয় হচ্ছেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজপথে নেমেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা এখন চলমান আন্দোলনে আছেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আগ পর্যন্ত তারা রাজপথেই থাকবেন। দলের পক্ষ থেকে জনগণের দাবির সব কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদসহ নানা ইস্যুতে এখন রাজপথে রয়েছে বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এমআরপি/এসআইএস