নারায়ণগঞ্জ: আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবারের (১১ নভেম্বর) সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে রূপগঞ্জ যুবলীগ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের প্রস্তুতি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করে রূপগঞ্জ যুবলীগ একটি পক্ষ।
উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীরহাটাব এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় বিকেলে ওই সভা শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১১ নভেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এক পক্ষ দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে রফিকুল ইসলামকে দাবি করেন। অপর পক্ষটি দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে হুমায়ুন কবিরকে দাবি করেন।
ওই সমাবেশ সফল করতে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের পক্ষ প্রস্তুতিমুলক আলোচনা সভার আয়োজন করেন। ওই সভায় প্রধান অতিথি করা হয় দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিনকে ও বিশেষ অতিথি করা হয় দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারকে। দুপুর ১২টার দিকে আলোচনা সভা পণ্ড করতে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ তার পক্ষের লোকজন সভাস্থলে এসে বাধা দেয় এবং চেয়ারটেবিল ভাংচুর করে।
এসময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় পক্ষের আজিম, আসিফ, ইয়াকুব, রাকিবসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের সহায়তায় বিকেলে ওই সভা শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিকান্দার আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক রুবেল হোসেন, উপজেলার তথ্য গবেষণা সম্পাদক কামাল হোসেন কমল, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম খোকন, যুবলীগ নেতা বাবুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, আরিফুল হকসহ আরও অনেকে।
সভায় দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টার বলেন, পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত শিবির ও বিএনপির লোকজন দিয়ে যুবলীগের সভাকে পণ্ড করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালে আর ছাড় নয়।
এ বিষয়ে এক পক্ষের দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে সভাটি করা হয়েছে। এছাড়া ওই পক্ষ আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে আহত করেছে।
অপর পক্ষের দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির কবির বলেন, আমাদের সভা পণ্ড করতে সভাস্থলে এসে হামলা চালায় রফিকের ভাড়া করা জামায়াত শিবির ও বিএনপির লোকজন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সভাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এমআরপি/এসএ