ঢাকা: আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ব্যাপক জমায়েত ও জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির মহাসমাবেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলটির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে সক্রিয়। তাই ক্ষমতাসীনরাও বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে ব্যাপক গণজমায়েতের মাধ্যমে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার যুবলীগের মহাসমাবেশটিও এ কর্মসূচির অংশ। কারণ, মাঠের রাজনীতিতে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে যুবলীগকে প্রধান শক্তি হিসেবে মনে করে আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আয়োজিত মহাসমাবেশটি সফল করতে গত কয়েক দিন ধরে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন প্রস্তুতিমুলক কার্যক্রম চালিয়েছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা সমাবেশে সর্বোচ্চ জমায়েত নিশ্চিত করতে গণসংযোগ করেছেন। এছাড়া রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলো থেকেও বড় জমায়েত আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিএনপিকে কাউন্টার দিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে মাঠে গণ জমায়েতের কর্মসূচি শুরু করে আওয়ামী লীগ। এদিন রংপুরে বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি। এ ছাড়া রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানো হয়। এদিন সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে পাল্টা শো-ডাউন ও সাংগঠনিক শক্তি দেখায় ক্ষমতাসীনরা।
গত ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মধ্য বাড্ডা ইউ-লুপের কাছে বিশাল সমাবেশ করা হয়। একই সময় চলছিল বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সমাবেশের মাধ্যমে জনসমর্থন প্রমাণ করতে চায় সরকারি দল। এ ছাড়া বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে দলটি এই কর্মসূচিগুলো নিচ্ছে।
বাড্ডার ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। এখন বিদেশিরা দেখুক কার বেশি লোক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এসকে/এমজে