ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী সন্ত্রাস ও অপকীর্তির শেষ নেই। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ওরা রক্তাক্ত পথে হাঁটছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ভুঁইয়া তানুকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ হত্যায় উৎসাহী একটি রাজনৈতিক দল। বিরোধী দলের নিরপরাধ লোকজনদের হত্যার শাস্তি না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার জেলার রামু থেকে র্যাব পরিচয়ে দিয়ে তুলে নিয়ে যায় যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফ বিন জলিলসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকে। সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ইউসুফ বিন জুয়েলকে আটকে রাখে র্যাব-১৫। কিন্তু পরবর্তীতে ইউসুফকে আটকে রাখার কথা র্যাব-১৫ অস্বীকার করতে থাকে। আজ সকালে ইউসুফ বিন জলিলকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আজ ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির ঐতিহাসিক বিভাগীয় গণসমাবেশ। যদিও সমাবেশকে বাধা দেওয়ার কমতি করেনি সরকার। রাজবাড়ী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের খুঁজতে বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের হানা দেওয়া, গোপালগঞ্জ থেকে ফরিদপুরগামী এবং ঢাকা থেকে ফরিদপুরগামী বাস বন্ধ করে দেওয়া ইত্যাদি অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে ফরিদপুরে মোবাইলের সব নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের ইন্ধনেই এ অঘোষিত ধর্মঘট, পুলিশি হয়রানি এবং মোবাইলের নেটওয়ার্ক বন্ধ করা সত্ত্বেও অভাবনীয় লোক সমাগম হতে শুরু করেছে। মানুষ নানাভাবেই বিভিন্ন বাহনে সমাবেশস্থলের দিকে বানের পানির মতো এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের কোনো বাধাই ফরিদপুর বিভাগের জনগণ ও নেতাকর্মীদের আটকাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস