ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণসমাবেশ: ফরিদপুরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
গণসমাবেশ: ফরিদপুরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম গণসমাবেশ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে সারা দিনে জেলা শহর থেকে সমাবেশস্থল পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবি বিএনপির নেতাকর্মীদের।  

ফরিদপুর-রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে শহরের উপকণ্ঠের সমাবেশস্থল এম এ আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠ পর্যন্ত লোকজনের সমাগম ছিল দিনব্যাপী।

 

তবে, ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপির এ গণসমাবেশে এক লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে।  

এ গণসমাবেশে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বিএনপির এ গণসমাবেশে লক্ষাধিক মানুষ না হলে অর্ধ লক্ষের উপরে মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবী তাদের।  

এদিকে, শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গির সভাপতিত্বে এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ গণসমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির দুই সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান ও মো. সেলিমুজ্জামান।  

কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.কে.এম কিবরিয়া স্বপন, মহিলা দলের সহ-সভাপতি ইয়াসমিন আরা হক, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু, কাতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি রউফউনবী, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমদ তাবরীজ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ মঞ্চে দুইটি চেয়ার ফাঁকা
 বিএনপির অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গণসমাবেশের মতো ফরিদপুরের গণসমাবেশের মঞ্চেও দুইটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়।  

এ সত্যতা নিশ্চিত করে কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, গণসভামঞ্চের মাঝের দুইটি চেয়ার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য খালি রাখা হয়েছে।  

পায়ের নিচে বিলবোর্ড-প্লাকার্ড
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতের বিলবোর্ড-প্লাকার্ড অবহেলায়-অযত্নে পায়ের নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায়।  

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নেতা কর্মীরা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের ছবি সংবলিত বিলবোর্ড-প্লাকার্ড নিয়ে মিছিলসহ সমাবেশস্থলে হাজির হন। পরে বিলবোর্ড-প্লাকার্ডগুলো অবহেলা-অযত্নে ফেলে রাখে। ফেলে দেওয়া বিলবোর্ড-প্লাকার্ডের ওপর দাঁড়িয়ে মঞ্চের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।  

এ বিষয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কী করবো ভাই, যে রোদ আর গরম তাতে জান বাঁচে না, প্লাকার্ড ধরে রাখতে কষ্ট হয়। তাছাড়া ওর কাজও শেষ, তাই নিচে রেখে দিয়েছি।

বাস-মিনিবাস ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

ফরিদপুরে ৩৮ ঘণ্টার বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের ফলে লোকাল ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেন ফরিদপুর জেলা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। এর ফলে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৩৮ ঘণ্টা জেলার সব রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।  

ধর্মঘটে বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি তিন চাকার মাহেন্দ্র এবং মাইক্রোবাস চলাচলও সীমিত হয়ে পড়ে। শুধুমাত্র ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।