হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ বিএনপির ১৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ অ্যাসল্ট মামলাটির বাদী বানিয়াচং থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সামছুল আরেফিন।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সময় আটক একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ জানায়, সিলেটে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ১২টায় দলটির ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র নিয়ে মাঠে বসেছিলেন। পুলিশ সেখানে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করেন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেখান থেকে বিস্ফোরক জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে আটক করে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে বিএনপির এক নির্বাচিত নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়েছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নেতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে এক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। এভাবে বাধা দিয়ে থামানো যাবে না। সিলেটের গণসমাবেশ জনস্রোতে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এসআই