ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কামারখন্দে সংঘর্ষ: বিএনপির পৌনে ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
কামারখন্দে সংঘর্ষ: বিএনপির পৌনে ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ, পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৭৬ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বাদী হয়ে ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।  

আসামিদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  

এ মামলায় গ্রেফতাররা হলেন- কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জামতৈল গ্রামের বাসিন্দা হাবিল উদ্দিন মণ্ডল (৫৫) ও উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম ওরফে লাভলী (৫১)।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী প্রধান বাংলানিউজকে জানান, দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দুই আসামিকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশে তাদের সভা শেষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি।  

গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বিএনপির সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও এএসপিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। রুমানা মাহমুদের গাড়িসহ চারটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একে অপরকে দায়ী করেছে।  

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।